মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:০৬

শিরোনাম :
প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল
বরিশালের নূরানী মাদ্রাসায় ছাত্র ধর্ষণ, গণধোলাই খেল হাফেজ

বরিশালের নূরানী মাদ্রাসায় ছাত্র ধর্ষণ, গণধোলাই খেল হাফেজ

dynamic-sidebar

বরিশাল: শহরের একটি মাদ্রাসায় ১১ বছর বয়সি এক শিশুছাত্রকে বলৎকারের চেষ্টা চালিয়েছেন শিক্ষক। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে পিটিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাটি শহরের আমতলা পানির ট্যাংকি এলাকায় মনিরুল কুরআন নূরানী হাফেজী ও কওমী মাদ্রাসার। কিন্তু এই পুরো বিষয়টি লুকোচাপা রাখলেও ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলের পরে ফাঁস হয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে তাড়িয়ে বিষয়টি আড়াল করতে চেয়েছিলেন মাদ্রাসার পরিচালক মনিরুল ইসলাম। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম হাফেজ মো. রাতুল।

 

তিনি বরিশাল নগরীর বেলতলা এলাকার বাসিন্দা ও ওই মাদ্রসার আরবী শিক্ষক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ওই এলাকার হেলাল এন্টারপ্রাইজ নামক ভবনের মাদ্রাসাটি থেকে শিশুছাত্রটি বেড়িয়ে সড়কের পাশে কাঁদতেছিল। তখন পথচারীরা জিজ্ঞেস করলে সে তাদের বলে পড়া পারেনি। তাই শিক্ষক (হুজুর) তাকে শাস্তির নামে বুধবার সকাল ৮টার দিকে ডেকে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা করেন।

 

ওই সময় কোন রকম দৌড়ে পালিয়ে মাদ্রাসার সামনে রাস্তায় নেমে এসে কান্না শুরু করে শিশুটি। পরবর্তীতে নূর নামে শিশুটির মুখ থেকে শিক্ষকের কান্ড শুনে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসাটি ভেতরে শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখে। সেই সাথে শিশুটির অভিভাবকদের খবর দেয়। ফলশ্রুতিতে পরিস্থিতিতে বেগতিক দেখে মাদ্রাসার পরিচালক মনিরুল ইসলাম অভিযুক্ত শিক্ষক রাতুলকে পিটুনি দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে শিশুটির পরিবারের স্বজনদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি চেপে যেতে বলায় তারাও এই ঘটনায় মুখ খুলছে না।

 

বরং শিশুটির নানা আব্দুল আজিজও এখন শিক্ষকের পক্ষ সাফাই গাইছেন। তাছাড়া শিশুটিকেও মিডিয়ার সম্মুখে না এনে বিষয়টি আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন পরিচালক। এক্ষেত্রে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, বিষয়টি শহরজুড়ে আলোড়িত হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অথচ পরিচালক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ছাত্রদের বলাৎকার, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালক ও শিক্ষকদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে অনেক শিক্ষার্থী পালিয়েও গেছে।

 

তাছাড়া মাস কয়েক পূর্বে এক এতিম শিশুকে বেত্রাঘাতের মাধ্যমে নির্মম ভাবে নির্যাতনের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক মনিরুল ইসলামকে আটকও করেছিলো কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এমতাবস্থায় পরিচালক সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, এমটি মহল তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র করে আসছে।

 

এবার শিশু বলৎকারের খোড়া অজুহাত তুলে তাদের হয়রানি করতে চাইছে। তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন মামুন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তাছাড়া কেউ কিছু বলেওনি। এখন শুনেছেন। খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন।’’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net